একিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (AML)
একিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (AML) একটি প্রাণঘাতী রোগ। এটি রক্তের এক প্রকার ক্যান্সার। এতে রক্তের শ্বেত কণিকার অস্বাভাবিক দ্রুত বৃদ্ধির কারণে অকর্মা শ্বেত কণিকা তৈরি হয় এবং তা বোনম্যারো বা অস্থিমজ্জা দখল করে ও রক্তের কার্যকারিতা নষ্ট করে ফেলে। এই বোনম্যারোতেই মানুষের রক্তকণিকা তৈরি হয়ে থাকে। শারীরিক দুর্বলতা, অবসাদ, ফ্যাকাসে হওয়া, অস্বাভাবিক জ্বর, চামড়ার নীচে বা দাঁতের গোঁড়া থেকে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। সাধারণ হিসাব অনুযায়ী প্রতি ১০০,০০০ মানুষের মধ্যে ৩.৫ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং তার ৫০%ই ষাটোর্ধ বয়সের। এ রোগের চিকিৎসার ফলাফল সুনির্দ্দিষ্ট নয়। ফলাফল আন্দাজ করার জন্য কিছু বিষয় দেখতে হয়। সেগুলোর মধ্যে প্রধান বিষয়গুলো হচ্ছে বয়স, কর্মক্ষমতা, সাইটোজেনেটিক্স, রক্তের শ্বেত কণিকার সংখ্যা এবং রোগটি সেকেন্ডারি কিনা। সেকেন্ডারি অর্থ রোগটি রোগীর অন্য কোন রোগের জটিলতা হিসেবে বা অন্য কোন ক্যান্সার চিকিৎসার জটিলতা হিসেবে দেখা দিয়েছে কিনা। সাধারণত ষাটোর্ধ বয়সের রোগীদের বাচার সম্ভবনা কম বয়সীদের তুলনায় অর্ধেক। বয়সের সাথে সাথে চিকিৎসা জনিত মৃত্যু হার বাড়ে এবং নিরাময় ও দীর্ঘ মেয়াদি বাচার সম্ভবনা কমে যায়। কম কর্মক্ষমতা, শ্বেতকনিকার আধিক্য ও সেকেন্ডারি লিউকেমিয়ার ক্ষেত্রে নিরাময় ও বেচে থাকার সম্ভবনা কমে যায়। সাইটোজেনেটিক রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে এই রোগকে তিনটি তুলনামূলক ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়- ভাল, মধ্যম ও খারাপ। এই তিন ক্যাটেগরির রোগীদের চিকিৎসা পরবর্তি ৫ বছর বাচার সম্ভবনা যথাক্রমে ৬৫%, ৪১% ও ১৪% এবং একই ভাবে তা ষাটোর্ধ রোগীদের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৩৮%, ১৩% ও ৪%। সাধারণ ভাবে এসব রোগী সফল চিকিৎসার পর ৫ বছর ঐ রোগমুক্ত অবস্থায় বেচে থাকলে রোগটি নিরাময় হয়েছে বলে ধরা হয়।
Comments
একিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়া (AML) — No Comments
HTML tags allowed in your comment: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>