সিএমএল রোগী ও করোনা ভাইরাস ইনফেকশন
সিএমএল বা ক্রনিক মাইলয়েড লিউকেমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস ইনফেকশন সম্পর্কিত বিশেষ কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নাই। করোনা ভাইরাসের মারাত্মক ইনফেকশনের ঝুঁকি অন্যদের মতই। যেমনঃ
১) বয়স্ক রোগী,
২) আগে থেকে উপস্থিত অন্য রোগ, বিশেষ করে ফুসফুসের সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস,
৩) করোনার সাথে ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন,
৪) অন্য যে কোন কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তি।
সিএমএল রোগীরা করোনা রোগীর সংস্পর্শে গেলে বা লক্ষণ থাকলে কি করবেন?
১) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সকলের জন্য সাধারণ নিয়ম মেনে চলুন।
২) আপনার হেমাটোলজিস্ট না বলা পর্যন্ত ঔষধ বন্ধ করবেন না।
৩) ফোন বা ইমেইল বা মেসেঞ্জারে আপনার হেমাটোলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন।
৪) নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সরাসরি হাসপাতালে বা আপনার ডাক্তারের নিকট উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকুন; এতে আপনার শরীরে করোনা উপস্থিত থাকলেও তা আপনার ডাক্তার ও হাসপাতালে আগত অন্যদের শরীরে বিস্তার রোধে সহায়ক হবে।
করোনা প্রতিরোধের সাধারণ নিয়মঃ
১) সর্দি কাশির লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন।
২) আপনার মুখ, চোখ, নাকে হাত দেয়ার আগে সাবান বা স্পিরিট দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন।
৩) বাথরুম ও গনপরিবহন ব্যবহারের পর, খাবারের আগে, হাত দিয়ে হাঁচি কাশি ঠেকানো বা নাক ঝাড়ার পর সাবান দিয়ে দুই হাত কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে ধুয়ে ফেলুন। ৬০% এলকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) আপনার এলাকায় করোনা দেখা দিলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে অবস্থান করুন।
৫) হাঁচি কাশি বা নাক ঝাড়ার জন্য টিস্যু ব্যবহার করুন ও তা সাথে সাথেই ফেলে দিন।
৬) ঝুকিপুর্ণ এলাকায় অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত করবেন না।
৭) আপনার সর্দি কাশি থাকলে বাইরে বের হবেননা; একান্ত প্রয়োজনে ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন।
৮) সর্দি কাশি জ্বর থাকলে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে উপস্থিত হওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে আগে ফোনে যোগাযোগ করে নিন; সরাসরি উপস্থিত হবেন না, এতে করোনার বিস্তার রোধে সহায়ক হবে।
Comments
সিএমএল রোগী ও করোনা ভাইরাস ইনফেকশন — No Comments
HTML tags allowed in your comment: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>