হাসিমুখটা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকুক
সাত বছরের মেয়েটি আজ এসেছে স্কার্ফ ছাড়াই। আজ বেশ সুন্দর লাগছে তাকে। মাথার চুলগুলো বড় হয়েছে। এখন আর পড়েনা। আগে চুল পড়তো বলে নেড়ে করে দেয়া হয়েছিল। এ বছর স্কুলে যাওয়া হয়নি। মায়াময় দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। মায়ের সাথে কথা হচ্ছিল।
বছর তো শেষ, সামনের বছর স্কুলে দেন।
স্যার, ও এবছরই বার্ষিক পরীক্ষা দিতে চায়।
পড়াশুনা ছাড়াই?
পড়ালেখা একা একা করেছে। বাড়িতে প্রাইভেট মাস্টার এসে কাজিনদের পড়াত, সে পাশে বসে শিখেছে।
বাহ। পড়ার কত ইচ্ছা!
ব্লাড ক্যান্সারের রোগী সে। একিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া। গত ফেব্রুয়ারি থেকে চিকিৎসা দিচ্ছি তার। এখন মেইন্টেনেন্স চলছে। দাদা চিকিৎসা করাতে রাজি ছিলেন না, কারণ বাচার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। বাবা তার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে এসব কষ্ট সহ্য করতে পারেননা বলে খুব কমই আসেন মেয়ের সাথে, টাকা দেয়া দরকার দিয়ে যাচ্ছেন। মা আর মামার যত্ন ও আন্তরিকতায় আজ সে রোগমুক্তির পথে।
আমার কাছ থেকে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি পেয়ে মুখটা তার এক মুহূর্তে উজ্জ্বল হয়ে গেল। আহ! কি শান্তি! হাসি মুখটা নিয়ে সে বেড় হয়ে গেলো। তার এই হাসিমুখটা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকুক।
Comments
হাসিমুখটা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকুক — No Comments
HTML tags allowed in your comment: <a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>